Class 10 Geography Important Question Lesson- 1
মাধ্যমিক ভূগোল দশম শ্রেণী প্রথম অধ্যায়

বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ
~: Important Qestion & Answer :~
~: মাধ্যামিক দশম শ্রেণী ভূগোল সাজেশন ও প্রশ্নোত্তর :~
শিলামন্ডল ও ভূগর্ভের বিভিন্ন অংশের যে প্রাকৃতিক শক্তি প্রতিনিয়ত কাজ করে বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠন করে তাকে বলা হয় অভ্যন্তরীণ শক্তি !
যে প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি ভূপৃষ্ঠে প্রতিনিয়ত কাজ করে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায় তাকে বলে বহির্জাত প্রক্রিয়া!
জলের বারিমন্ডল থেকে যাত্রা শুরু করে বায়ুমণ্ডল হয়ে আবার বারিমন্ডলের ফিরে আসার এই চক্রাকার গতিকেই বলে জলচক্র!
নদীর হলো স্বাভাবিক প্রবাহমান জলধারা, যা পার্বত্য অঞ্চল উচ্চভূমিতে বৃষ্টির জল, বরফ গলা জল অথবা প্রস্রবনের জল থেকে উৎপন্ন হয়ে অভিকর্ষের টানে ভূমির ঢাল অনুসারে উৎস থেকে মোহনা দিকে প্রবাহিত হয়, একেই নদী বলে!
কোন প্রধান নদী এবং তার বিভিন্ন উপনদী ও শাখানদী যে অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই অঞ্চলটিকে কোন নদীর অববাহিকা বলা হয়!
যে পার্বত্য অঞ্চল বা উচ্চভূমি কাছাকাছি অবস্থিত দুটি নদী ব্যবস্থাকে পৃথক করে, সেই উচ্চভূমি বা পার্বত্য অঞ্চল কে জলবিভাজিকা বলে! উদাহরণ: মধ্য এশিয়ার পার্বত্য ভূমি কে পৃথিবীর সর্ব প্রধান জলবিভাজিকা বলা হয়.
মধ্য এশিয়ার পার্বত্য ভূমি হলো পৃথিবীর সর্ব প্রধান জলবিভাজিকা.
যে সমস্ত নদীর তিনটি গতি উচ্চগতি মধ্যগতি নিম্নগতি স্পষ্ট দেখা যায় তাকে আদর্শ নদী বলে . যেমন গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র ইত্যাদি.
পার্বত্য অঞ্চলে নদীর স্রোতের প্রবল আঘাতের ফলে নদী খাত ও নদীর দু'পাশে থাকা পাথর খন্ড গুলির ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ভেঙে যায় এবং নদীর স্রোতের সঙ্গে বহু দূরে বাহিত হয় একে জলপ্রবাহ বলে.
নদীবাহিত পাথর খণ্ডের সঙ্গী নদী খাতের সংঘর্ষের ফলে নদী খাতে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হয়, যা নদীখাতকে আরো তাড়াতাড়ি ঘর আয় করতে সাহায্য করে. নদীর ক্ষয় কাজের এই প্রক্রিয়াকে অবঘর্ষ বলা হয়!
নদীর পাথর খন্ড গুলি একে অপরের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় প্রথমে ছোট ছোট মসৃণ গোলাকার পাথর খণ্ডে এবং অবশেষে বাড়ি তে পরিণত হয় এই প্রক্রিয়াকে ঘর্ষণ ক্ষয় বলে.
অনেক সময় লবণযুক্ত শিলাস্তরের উপর নদীর জলে দ্রবীভূত অম্লের পূর্বের রাসায়নিকভাবে বিয়োজিত হয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, একে দ্রবণ ক্ষয় বলে.
নদীর স্রোতের টানে কিছু কিছু শিলাখণ্ড নদী খাতে বারবার ধাক্কা খেয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে চলে এবং কালক্রমে নদী পথে প্রবাহিত হয়. এই খেলাম প্রদান প্রক্রিয়া বলে.
'v' আকৃতির উপত্যকা:
নদীর পার্বত্য প্রবাহের প্রথম অবস্থায় নদী প্রধানত নিম্নক্ষয়ই করে বলে নদীখাত প্রথমে "I" আকৃতির এবং পরে অববাহিকার ও জলপ্রবাহের দ্বারা পার্শ্বক্ষয়ের ফলে ক্রমশ 'V'অক্ষরের আকার ধারণ করে বলে ,একেই বলে ভি আকৃতির নদী উপত্যকা.
গিরিখাত:
বৃষ্টিবহুল উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে নদীর নিম্ন ক্ষয় এর মাত্রা অত্যন্ত বেশি হওয়ায় নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয়। এই ধরনের অতি গভীর ও সংকীর্ণ উপত্যকা কে গিরিখাত বলা হয় । কোন কোন দেশের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী পর্বতের চূড়ায় উচ্চতার পার্থক্য প্রায় কয়েক হাজার মিটার হয় ।
উদাহরণ: সাধারনত হিমালয় প্রভৃতি নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলের গিরিখাত দেখতে পাওয়া যায় । হিমালয় পর্বতে অবস্থিত নেপালের কালী গণ্ডক নদীর কালী গণ্ডকী গিরিখাতটি হল বিশ্বের গভীরতম গিরিখাত। এর সর্বাধিক গভীরতা 5480 মিটার ।
ক্যানিয়ন:
মরু প্রায় শুষ্ক অঞ্চলের প্রতি সংকীর্ণ ও অতি গভীর গিরিখাত কে ক্যানিয়ন বলা হয় ।
উদাহরণ: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন হল পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যানিয়ন । এর দৈর্ঘ্য হল 483 কিলোমিটার , প্রস্থ 12 কিলোমিটার , এবং সর্বাধিক গভীরতা 1.9 কিলোমিটার ।
হিমালয় পর্বতে অবস্থিত নেপালের কালী গণ্ডক নদীর কালী গণ্ডকী গিরিখাত টি হলো বিশ্বের গভীরতম গিরিখাত।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন হল পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যানিয়ন।
তিব্বতের ইয়ারলুং জ্যানবো হলো পৃথিবীর গভীরতম ক্যানিয়ন।
0 comments:
Post a Comment